,

টাইগারদের বড় হারের দিনে প্রাপ্তি মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি

সময় ডেস্ক : প্রাকৃতিক বৈচিত্রের দেশ ভারত। সেখানে কোথাও ঘন কুয়াশার দখলে মাঠ। কোথাও শরীরের সব জল শুষে নেওয়া গরম। আবহাওয়া ভিন্নতার মতোই বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের বিপরীতমুখী সমাপ্তি হয়েছে। ব্যাট হাতে প্রোটিয়ারা চার-ছক্কার বৃষ্টিতে রানের বন্যা দেখিয়েছে। বাংলাদেশের ইনিংস সেখানে কাঠ ফাঁটা রোদে রান খরা। এক প্রান্তে কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লড়েছেন, সেঞ্চুরি করেছেন। তারপরও ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গতকাল মঙ্গলবারের ম্যাচে টস পক্ষে আসেনি বাংলাদেশের। টস জিতে প্রোটিয়াদের নেতৃত্বভার পাওয়া এইডেন মার্করাম শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দু’বার ভাবেননি। মুম্বাইয়ের খটখটে ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ৩৬ রানে ওপেনার রেজা হেনড্রিকস (১২) ও রেসি ফন ডার ডুসেনকে (১) হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বাংলাদেশ ওই সুবিধা ঘরে তুলতে পারেনি। ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও চারে নামা মার্করাম ১৩১ রানের জুটি গড়ে শক্ত ভিত্তি এনে দেন দলকে।
মার্করাম ৬৯ রানে ৬০ রান করে আউট হন। ৭টি ৪ মারেন তিনি। পরে ডি কক ও হেনরিক ক্লাসেন ১৪২ রানের দুর্দান্ত জুটি দিয়ে ম্যাচ বাংলাদেশের নাগালের বাইরে নিয়ে যান। ওপেনার ডি কক ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা ১৭৪ রানের ইনিংস খেলে থামেন। তার ব্যাট থেকে ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কার শট আসে। ক্লাসেন শেষ ওভারে আউট হন ৪৯ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে। তিনি ৮টি ওভার বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা মারেন। এছাড়া ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে ১৫ বলে চারটি ছয় ও এক চারে ৩৪ রানের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ। ৫৮ রানে দলের পাঁচ মূল ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যান। ওপেনার তানজিদ তামিম ১২ রান করেন। তিনে নামা নাজমুল শান্ত (শূন্য) পরের বলেই আউট হন। সাকিব স্কোরবোর্ডে দিতে পারেন মাত্র ১ রান। মুশফিক খেলেন ৮ রানের ইনিংস। ভরসা দিতে পারেননি সাতে নামা মিরাজও। তিনি ১১ রান করেন। এর মধ্যে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি খেলেন ১১১ বলে ১১১ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১১টি চার ও চারটি ছক্কার শট আসে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন এই ডানহাতি ব্যাটার।
বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ৪ পেসার মার্কো ইয়ানসেন, গেরাল্ড কোয়েটজে, কাগিসু রাবাদা ও লিজার্ড উইলিয়ামস। কোয়েটজে ৩ উইকেট তুলে নেন। বাকিরা নেন করে উইকেট। নতুন বল হাতে নেওয়া মিরাজ (৯ ওভারে ৪৪ রান) ছাড়া বাংলাদেশের কোন বোলার সুবিধা করতে পারেননি। মুস্তাফিজ ও শরিফুল ৯ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে ৭৬ করে রান দিয়েছেন। হাসান মাহমুদ ৬ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট।


     এই বিভাগের আরো খবর